Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Vespa S150 স্কুটার: দাম শুরু হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা থেকে, জানুন এই গাড়ি র সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা ও গাড়ির সব ফিচারস

Vespa S150 স্কুটার – রেট্রো ডিজাইন, স্টাইলিশ হেডলাইট ও মেটাল বডি সহ একটি প্রিমিয়াম স্কুটার

Vespa S150 স্কুটার: দাম শুরু হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা থেকে, জানুন এই গাড়ির সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা ও গাড়ির সব ফিচারস

এই কোম্পানির বাইকটির নামটা শুনলেই মনে পড়ে যায় স্টাইল, ক্লাস এবং ইউরোপীয় ডিজাইনের কথা। সেই ধারাবাহিকতায় Vespa S150 হল একটি প্রিমিয়াম স্কুটার যা ফ্যাশনেবল ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং আরামদায়ক রাইডিং অভিজ্ঞতার জন্য পরিচিত। চলুন জেনে নিই Vespa S150-এর সমস্ত স্পেসিফিকেশন, ফিচারস, দাম ও অন্যান্য সমস্ত কিছু বিস্তারিতভাবে।

গাড়ির ডিজাইন ও লুক এবং ফিচারস

এই গাড়িটি দেখতে হেভি স্টাইলিশ আমার মত অনুযায়ী বলছি আজকালকার তরুণ তরুণীদের এই গাড়িটি একবার দেখলেই পছন্দ হয়ে যাবে এর মধ্যে যে রেট্রো হেডলাইট আর এর দুটি যে লুকিং গ্লাসগুলি আছে সেটি এই গাড়িটির সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয়। এই লোকের জন্যই গাড়িটি আজকালকার ইয়াং জেনারেশনের এর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে খুব। আর একটা কথা হল বেশিরভাগ স্কুটারেরি বডি তৈরি হয় প্লাস্টিক দিয়ে কিন্তু এই স্কুটারটির বডি তৈরি করেছে কোম্পানি মেটালের/স্টিলের এর ফলে আপনি বুঝতেই পারছেন এই গাড়িটি বেশক্তভক্ত ছোটখাটো আঘাত সহ্য করারও ক্ষমতা আছে এই গাড়িটির।

আরো পড়ুন: https://babaiigl.blogspot.com/2025/07/ather-rizta-family-electric-scooter-review-bangla.html

এর সঙ্গে সঙ্গে এই গাড়িটিতে আপনি মোবাইল চার্জও দিতে পারবেন কারণ এতে ইউএসবি চার্জিং পোর্ট আছে কিন্তু সব ভার্সনে নেই কিছু কিছু ভার্সনে আছে। এছাড়াও এর মধ্যে একটি সেফটি সিস্টেম রয়েছে সেটি হল সাইট স্ট্যান্ড ইঞ্জিন কাট অফ এর মানে হল যে আপনি গাড়িটি যখন সিঙ্গেল স্ট্যান্ড করে রাখবেন এবং সিঙ্গেল স্ট্যান্ড অবস্থায় যদি আপনি গাড়িটিকে স্টার্ট দেবেন তো গাড়িটি স্টার্ট হবে না কিংবা যদি স্টার্ট হয়ে যায় আবার বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে আপনি নিরাপদে থাকবেন। কারণ স্ট্যান্ড পড়ে থাকলে অনেক সময় আমরা যখন ডান দিক বাদিক গাড়িটিকে ঘুরাতে যাই তখন যদি আমাদের সিঙ্গেল স্ট্যান্ড টি পড়ে থাকে তো আমরা  পড়ে যেতে পারি সেই সিঙ্গেল স্ট্যান্ডে বেজে। কিন্তু এই গাড়িটিতে সেই পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আর থাকবে না থাকবে না কারণ সিঙ্গেল স্ট্যান্ড অবস্থায় যে গাড়িটাই চালু হবে না।

গাড়ির ইঞ্জিন, সাসপেনশন, ফুয়েল ট্যাঙ্ক ও মাইলেজ

আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলছি যে আমরা যখনই কোন গাড়ি কিনতে যাই তখন আমরা সবার আগেই দেখি যে ওই গাড়িটিতে ইঞ্জিন কেমন তাই তো? এখন আমি আপনাকে এই গাড়ির ইঞ্জিনের সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো আপনি এই গাড়িটিতে ১৫০ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ৪ স্ট্রোক এয়ার-কুলড পাওয়ারফুল ইঞ্জিন পাবেন। এই ইঞ্জিন থেকে ১০.৪ বি এইচ পি পাওয়ার আর ১০.৬nm টক উৎপন্ন হবে যার ফলে এই গাড়িটি চালাবেন গাড়িটি স্মুথলি চলবে। এই গাড়িটির সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক সাসপেনশন এবং গাড়িটির পিছনে মনোশক দেয়া হয়েছে এরফলে আপনি যখন উঁচু-নিচু রাস্তায় গাড়ি চালান এবং রাস্তায় যদি গাড্ডা থাকে তাহলে আপনার এই গাড়িটি সেই খারাপ রাস্তাতেও আরামসে চালাতে পারবেন কারণ এই খারাপ রাস্তায় চালানোর ফলে যে ঝাঁকনিটা হয় সামনে ও পিছনে এই সাসপেনশন গুলো সেগুলিকে কম করে। এর ফলে আপনি আরাম করে এবং স্মুথলি গাড়ি চালাতে পারেন। সত্যি তাই কারণ আমার এক বন্ধু এই গাড়িটি কিনেছে এবং তার গাড়িটি আমি চালিয়েছি, তাই আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি সত্যি গাড়িটি গাড্ডায় পড়লে ঝাঁকুনি অনেকটাই কম লাগে।

এই গাড়িটির ওজন হল ১১৪ কেজি আর এই গাড়িটিতে যেই ফুয়েল ট্যাংক আছে সেটিতে আপনি ৭.৪ লিটার পেট্রোল ভরতে পারবেন। এই গাড়িটির মাইলেজ কোম্পানির দাবি অনুযায়ী ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার প্রত্যেক লিটার তেলে চলে। কিন্তু আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আপনি যদি এই গাড়িটিকে গলিতে গলিতে চালান অথবা হেবি ট্রাফিক রাস্তায় চালান তাহলে আপনি মাইলেজ একটু কম পাবেন। কারণ আপনাকে বারবার ব্রেক মারতে হবে সেই জন্য। আর আপনি যদি কম ট্রাফিক আছে এরকম রাস্তায় চালান তাহলে আপনি একটানা চালাতে পারবেন আপনাকে বারবার ব্রেক মারতে হবে না তার ফলে আপনি মাইলেজ টি একটু বেশি পাবেন। আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলছি যে, গাড়ির মাইলেজ বেশিরভাগ ডিপেন্ড করে আমরা কিরকম রাস্তায় গাড়িটিকে চালাই তার উপর। আর একটি জিনিস যেটা আমরা সবাই যেই গাড়ি কিনি না কেন সেই গাড়িতেই এটি অবশ্যই দেখি সেটা হলো যে গাড়ির স্পিড কত আপনিও হয়তো মনে মনে এটাই ভাবছেন তাইতো হ্যাঁ আমি আপনাকে এবার এই গাড়ির টপ স্পিড কত সেটাই বলবো তাহলে শুনুন এই গাড়িটির টপ স্পিড হলো ৯৩ কিমি/প্রতি ঘন্টা।কিন্তু আমি আপনাকে বলব আপনি বেশি স্পিডে গাড়ি চালাবেন না এবং গাড়ি চালানোর সময় হেলমেট অবশ্যই ব্যবহার করবেন কারণ আপনার জীবন সবচেয়ে দামি আপনার নিজের এবং পরিবারের কাছে।

দাম

সমস্ত কিছু জানার পরে প্রত্যেকেরই মনে একটা জিনিসই আছে তাহলে এই গাড়িটির দাম কত হবে আমি জানি আপনিও সেই কথাই ভাবছেন তাহলে আর দেরি না করে আমি এখন আপনাকে এই গাড়িটির দাম কত সেটি বলবো।ভেসপা S150 এর দাম শুরু হয় প্রায় ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা (এক্স শোরুম প্রাইস)।অন্যান্য স্কুটারের তুলনায় এই স্কুটারটির দাম একটু বেশি হলেও, ব্র্যান্ড ভ্যালু ও বিল্ড কোয়ালিটির জন্য দামটা ন্যায্য বলেই অনেকে মনে করেন।

আমার মতামত

আপনি যদি স্টাইল, ব্র্যান্ড এবং বিল্ড কোয়ালিটির উপর বেশি গুরুত্ব দেন এবং বাজেট একটু বেশি হয়, তাহলে Vespa S150 আপনার জন্য আদর্শ। তবে আপনি যদি মাইলেজ, পারফরম্যান্স ও কস্ট ইফেক্টিভ অপশন চান, তাহলে অন্য স্কুটারের দিকেও নজর দেওয়া উচিত। আমি কিন্তু শুধু আমার মতামতটি জানালাম আপনি গাড়িটি কিনবেন কি কিনবেন না সেটি আপনার নিজের সিদ্ধান্ত।

ডিসক্লেইমার

আপনি এতক্ষণ যে লেখাটি পড়লেন এই লেখাটি আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি এবং বর্তমান কিছু তথ্য অনলাইন সোর্স থেকেও নিয়েছি। তাই আপনি যখন গাড়িটি কিনতে যাবেন তখন আপনি কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অথবা আপনার বাড়ির কাছাকাছি শোরুমে গিয়ে এই গাড়িটির সেই মুহূর্তের বর্তমান দাম ও সমস্ত ফিচারস ভালো করে জেনে নিয়ে তবেই কিনবেন। আমি এই কথাটি বললাম কারণ গাড়ির দাম ও ফিচারস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং জায়গা বিশেষে আলাদা অথবা পরিবর্তন হতে পারে তাই অনুগ্রহ করে একবার ভালো করে যাচাই করে নেবেন।

Post a Comment

0 Comments