Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Gemopai Astrid Lite ব্যাটারি স্কুটারটি একবার ফুল চার্জ দিন আর ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত চালান এবং এটির দাম আপনার বাজেটেও

২০২৫ সালের Gemopai Astrid Lite ইলেকট্রিক স্কুটার, সাদা ও সবুজ কালারের স্টাইলিশ ডিজাইন সহ, যার মাইলেজ ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

Gemopai Astrid Lite ব্যাটারি স্কুটারটি একবার ফুল চার্জ দিন আর ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত চালান এবং এটির দাম আপনার বাজেটেও

আমাদের দেশে গাড়ি গাড়ি চালানোর ফলে পরিবেশ দূষণ হয় সেটা আমরা সবাই জানি। এখন সবাই চায় যে পরিবেশ পরিবেশ দূষণ কম করতে এবং তার সাথে সাথে গাড়িও চালাতে সেই জন্যেই এখন বিভিন্ন কোম্পানি ইলেকট্রিক গাড়ি বের করেছে। যেমন ইলেকট্রিক বাইক আছে ইলেকট্রিক স্কুটার আছে ইলেকট্রিক ফোর হুইলার আছে। আজকে আমি আপনাকে একটি ইলেকট্রিক স্কুটারের বিভিন্ন তথ্য বলব। আপনি যদি পরিবেশবান্ধব হন আর এমন একটি ইলেকট্রিক স্কুটার খুঁজছেন যেটি দেখতেও স্টাইলিশ এবং পারফরমেন্সেও শক্তিশালী তো Gemopai Astrid Lite ব্যাটারি স্কুটারটি আপনি একবার দেখতে পারেন হয়তো আপনি যেরকম খুঁজছেন এই স্কুটারটি সেরকম হতে পারে চলুন এবার আমি আপনাকে এই স্কুটারটির সমস্ত কিছু এক এক করে বিস্তারিতভাবে বলি। আরেকটি কথা যেটি বলতে ভুলে গেছিলাম সেটি হল এই স্কুটারটি আজকালকার ইয়াং জেনারেশনের খুব পছন্দের স্কুটার হয়ে উঠেছে। কারণ তারা যেরকম চায় স্টাইলিশ পাওয়ারফুল এই স্কুটারটি ঠিক সেরকমই।

এর স্টাইলিশ লুক আর দারুণ পারফরম্যান্স যা আপনাকে মুগ্ধ করবে

এই স্কুটারটি দেখতে অনেকটা আধুনিক ও স্পোর্টি ধরনের। এটি আপনি পাঁচটি রঙে পাবেন। সেগুলি হল নিয়ন, অরেঞ্জ, রেড, ইন্ডিগো এবং চারকোল। প্রতিটি রঙই আলাদা স্টাইল তুলে ধরে, যা যেকোনো মানুষের ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই। যদি সহজ ভাবে বলি তো প্রত্যেকটি রং এই স্কুটারটিকে একদম পারফেক্ট লাগে। এই স্কুটারটির ডিজাইন যথেষ্ট অ্যাগ্রেসিভ, আপনি যখন গাড়িটি নিয়ে রাস্তায় বেরোবেন তখন অন্যসব গাড়ির থেকে এই গাড়িটিকে একদম আলাদা লাগবে। এবং যে কেউ এই গাড়িটিকে দেখে আকর্ষিত হবে। এই গাড়িটির টপ স্পিড হল ৭০ কিমি/ঘন্টা। এই গাড়িটির যে যে ভেরিএন্টস গুলি আছে সে অনুযায়ী স্পিড কমবেশি হতে পারে। এবং এটি একবার যদি আপনি ফুল চার্জ দেন তো ফুল চার্জে প্রায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়িটি চালাতে পারবেন। এই মাইলেজটি কিন্তু বেশ ভালো। এই মাইলেজ ও কিন্তু এক একটা ভেরিয়েন্ট সে এক এক রকম হতে পারে।এর ফলে বোঝা যাচ্ছে যে আপনি এই গাড়িটি নিয়ে দৈনন্দিন আপনার যে সমস্ত কাজকর্ম গুলি থাকে সেগুলি ভালোভাবে করতে পারবেন। এক কথায় বললে এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনে একটি সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। দেখুন এই মাইলেজ টি আবার কমও হতে পারে কারণ আপনি যদি জ্যাম রাস্তায় চালান বারবার গাড়ি বন্ধ করেন চালু করেন তো কম হতে পারে আমি আমার নিজস্ব এক্সপেরিয়েন্স দিয়ে বললাম কারণ আমি একদিন খুব জ্যামরাস্তায় ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে গেছিলাম সেখানে আমি বারবার ভোটার দিক বন্ধ করছিলাম আবার ফাঁকা হলে চালাচ্ছিলাম আবার বন্ধ করছিলাম এর ফলে আমি মাইলেজ কম পেয়েছিলাম তাই বললাম। এই স্কুটারটি নয় আমি অন্য একটি ব্যাটারি স্কুটার চালিয়েছিলাম আমি সেই অভিজ্ঞতা থেকেই কিন্তু আপনাকে এই কথাটি বললাম।

আরো পড়ুন: https://babaiigl.blogspot.com/2025/07/best-electric-scooters-under-60000-for-college-students-bengali.html

আধুনিক ওস্মার্ট ফিচারস যা আপনার গাড়ি চালানোকে করে আরও সহজ

আজকের এই সময়ে আজকালকার তরুণরা যে সমস্ত স্মার্ট ফিচারস পছন্দ করে সেই সমস্ত অনেক ফিচারসি এই ব্যাটারি স্কুটারটি তে দেওয়া আছে এখন আমি আপনাকে সেই ফিচার্স গুলির সম্বন্ধে বলব এই স্কুটারটিতে আপনি পাচ্ছেন কী-লেস এন্ট্রি, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, সেন্ট্রাল লক সিস্টেম এবং ফুল এলইডি লাইটিং। এর পাশাপাশি, স্কুটারটিতে তিনটি রাইডিং মোড আছে সেগুলি হল স্পোর্টস, সিটি এবং ইকোনমি, যা আপনি আপনার নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারবেন। আশা করি এই সমস্ত কিছু দেখে আপনি বুঝতেই পারছেন এই স্কুটারটি একদম আধুনিক ফিচারসএ ভরপুর। আরেকটি কথা সেটি হল এই কোটারটিতে আপনি সামনে ডিস্ক ব্রেক ও পিছনে ড্রাম ব্রেক পাবেন শুধু এই নয় এই ব্রেকগুলি ইলেকট্রনিক ব্রেকিং সিস্টেম (EBS) যুক্ত করা রয়েছে, যার ফলে আপনি যখন ব্রেক মারবেন তখন গাড়িটির ব্রেক এডজাস্ট অটোমেটিক হয়ে যাবে এই সিস্টেমের থেকে। এর ফলে আপনি যখন ব্রেক মারবেন তখন আপনার গাড়ির চাকা একবারে হট করে থেমে যাবে না এটি যেটুকু প্রয়োজন সেই হিসাবে এডজাস্ট করে আপনার গাড়িটিকে দাঁড় করাবে এর ফলে আপনার গাড়িটি স্লিপ করার থেকে রক্ষা পাবে এবং আপনিও নিরাপদে থাকবেন।

এটার দাম যা আপনার বাজেটের মধ্যে এবং কি কি ব্যাটারি ভেরিয়েন্টে পাবেন

আপনি যদি এতক্ষণ এই লেখাটি পড়ছেন তাহলে আপনি এই লেখাটি পড়ার আগে ওপরে হেডিং এ দেখতে পেয়েছেন যে আমি আপনাকে এই গাড়িটির দাম সম্পর্কে বলবো তাই তো হ্যাঁ আমি এখন আপনাকে এই গাড়িটির দাম সম্পর্কে বলবো কারণ আমরা যখন কোন গাড়ি কেনার কথা ভাবি কিংবা কিনতে যাই সবার আগে আমাদের মনে এই প্রশ্নটাই আছে যে গাড়িটির দাম কত সেটা কি আমার বাজেটের মধ্যে এই সব চিন্তাভাবনা করে তারপরে আমরা গাড়িটি দেখি। চলুন এবার আমি আপনাকে এই গাড়িটির যে তিনটি ব্যাটারি ভেরিয়েন্ট রয়েছে সেগুলির নাম ও তাদের দাম বলি

ক. ১.৭০kWh ভেরিয়েন্টের দাম প্রায় ৯২ হাজার ৩০০ টাকা

খ. ২.১৬kWh ভেরিয়েন্টের দাম প্রায় ৯৯ হাজার ৪০০ টাকা

গ. ২.৮৮kWh ভেরিয়েন্টের দাম প্রায় ১ লক্ষ্য১১ হাজার ২০০ টাকা

আমার মতে এই দামে এত আধুনিক ফিচারস এখন অন্য সব স্কুটারে পাওয়া খুব মুশকিল। এই দামে এত ফিচারস নিঃসন্দেহে এটি একটি ভ্যালু ফর মানি ইলেকট্রিক স্কুটার। এই গাড়িটির আরেকটি কথা যেটা আমি এখনো আপনাকে বলিনি সেটি হল এই গাড়িটি চার্জ দিতে তিন থেকে চার ঘন্টা সময় লাগে। পুরো পারফেক্ট বললাম না কারণ যে ব্যাটারির পাওয়ার বেশি সেটি একটি বেশিক্ষণ লাগে এবং যে ব্যাটারির পাওয়ার কম সেই ব্যাটারিটি চার্জ দিতে একটু কম সময় লাগে। মোটামুটি যে তিনটি ব্যাটারি ভেরিয়েন্ট রয়েছে সেগুলি তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে ফুল চার্জ হয়ে যায়। আপনি যদি স্কুটারটি রাত্রিবেলা চার্জে বসিয়ে দেন তো অনায়াসে তারপরের দিন আপনি ওই স্কুটারটিকে সারাদিন ব্যবহার করতে পারবেন আপনার সুবিধা মতো।

আমার মতামত

আমার মতে আপনি যদি বাজেটের মধ্যে একটি আধুনিক ফিচারস যুক্ত ও স্টাইলিশ একটি ব্যাটারী স্কুটার কিনবেন ভাবছেন তো এই স্কুটারটি আপনার জন্য একটি সঠিক বিকল্প হতে পারে। তাই আপনি আপনার ব্যাটারি স্কুটার এর যেই তালিকা রয়েছে তাতে এই স্কুটারটিকে রাখতে পারেন।

এতক্ষণ পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ কারণ আমি এই কনটেন্টটি অনেক বড় করে লিখেছি কারণ একটাই, আমি চাই আপনি একদম সঠিকভাবে বুঝতে পারেন তাই আমি এরম করে লিখেছি। আমি একদম সংক্ষেপে লিখতে চাইনি। কারণ আমি চাই যে আমার যে বন্ধু এই লেখাটি পড়ছে সে যেন সম্পূর্ণভাবে এই গাড়িটির তথ্য বুঝতে পারে সেই জন্যই এরকম ভাবে লিখেছি।

ডিসক্লেইমার

আপনি এতক্ষণ ধরে যে লেখাটি পড়লেন সেই কনটেন্টির সমস্ত তথ্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে লিখেছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং জায়গা বিশেষে  এই স্কুটারটির দাম ও ফিচার্স পরিবর্তন হতে পারে তাই আপনি যদি স্কুটারটি কিনবেন ভাবেন অথবা কেনেন তো তার আগে কোম্পানির নিজস্ব অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অথবা আপনার বাড়ির সামনে যে শোরুমটি আছে সেখানে গিয়ে অবশ্যই সেই মুহূর্তের বর্তমান দাম ও ফিচার ভালো করে জেনে নিয়ে তারপরে কিনবেন। এই লেখাটি কিন্তু আমি কোন কোম্পানির হয়ে লিখিনি অথবা কোম্পানির জন্য লিখিনি আমি শুধু চাই যে আপনাদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে সেই জন্যই আমি এই লেখাটি লিখেছি গাড়িটি কিনবেন কি কিনবেন না সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

Post a Comment

0 Comments