আজকের মাছের দাম | আগরপাড়া, সোদপুর, বেলঘড়িয়া বাজারে ৫ই আগস্ট ২০২৫ - বিস্তারিত আপডেট একজন মাছ বিক্রেতার অভিজ্ঞতায়
বাজার: আগরপাড়া, সোদপুর, বেলঘড়িয়া
তারিখ: ৫ই আগস্ট
বন্ধুরা, কাল আমি মাছ বিক্রি করতে যাইনি, তাই আপনাদেরকে আগরপাড়া, সোদপুর, বেলঘড়িয়া এই এরিয়ার কালকের মাছের দাম জানাতে পারিনি। তার জন্য আমি দুঃখিত।
আজ আমি পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখলাম, মাছের আমদানি ছিল অনেকটাই বেশি। কিন্তু তারপরেও দাম ছিল কালকের তুলনায় বেশি। পাইকারি বাজারের বিক্রেতারা সেই কথাই বলল।
আজ আমি যেসব মাছ এনেছি সেগুলো হলো: রুই মাছ, চিংড়ি মাছ, বোয়াল মাছ, জ্যান্ত শিং মাছ এবং পাবদা মাছ। এখন আমি আপনাদেরকে বলছি আজ এই মাছগুলোর কী দাম ছিল। এছাড়াও কয়েকটি মাছের দাম বলবো যেগুলো আমি আজ আনিনি।
আজকের আমি যে যে মাছগুলি এনেছি সেই মাছের দাম
চিংড়ি মাছ:
বড় চাপরা চিংড়ি এনেছিলাম – ছয় থেকে সাতটি মাছে ১০০ গ্রাম হয়। এই মাছগুলি বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা কেজি।
রুই মাছ:
ডিমওয়ালা রুই মাছ (১ কেজি ৭০০ গ্রাম থেকে ২ কেজি ওজন) বিক্রি হয়েছে গোটা ২০০ টাকা কেজি।
ডিম ছাড়া রুই মাছ (প্রায় দেড় কেজি ওজন) বিক্রি হয়েছে গোটা ২৭০ টাকা কেজি।
বোয়াল মাছ:
বোয়াল মাছের দাম আজ তুলনামূলক কম ছিল। ১.৫ কেজি থেকে ১.৭ কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হয়েছে গোটা ২০০ টাকা কেজি।
শুধু মাছ (মাথা ছাড়া) বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা কেজি।
জ্যান্ত শিং মাছ:
৪০-৫০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা কেজি।
পাবদা মাছ:
৪০-৫০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি করেছি ৪০০ টাকা কেজি।
একটি মাছ ১০০ গ্রাম হলে সেই পাবদা বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকা কেজি।
আজ আমি যেসব মাছ আনিনি, সেগুলোর দাম
কাতলা মাছ:
২.২ কেজি থেকে ২.৬ কেজি ওজনের কাতলা বিক্রি হয়েছে গোটা ২৮০ টাকা কেজি।
ছুরি মাছ:
১৮০–২৫০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা কেজি।
জ্যান্ত রুই মাছ:
১.২ কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হয়েছে ২৬০ টাকা কেজি।
ভোলা মাছ (পদ্ম ভোলা):
৫০০–৭০০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি হয়েছে ৩৩০ টাকা কেজি।
খোকা ইলিশ:
১৮০–২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ আজও বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা কেজি। দাম কালকের মতোই।
বেলে মাছ:
৩০–৫০ গ্রাম ওজনের বেলে মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা কেজি।
পাঙ্গাস মাছ: এক একটি মাছের ওজন এক কেজি ৭০০ গ্রাম থেকে দু কেজি, এই মাছ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি গোটা
ছোট আমোদি মাছ:
এই মাছ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি।
আজকের চাহিদা কেমন ছিল?
১. জ্যান্ত শিং মাছ প্রথমেই বিক্রি হয়ে গেছে। সেখান থেকেই বুঝলাম আজ এই মাছের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি।
২. রুই মাছ বিক্রি করতে আজ একটু সময় লেগেছে কারণ দাম বেশি ছিল।
৩. চিংড়ি মাছ বড় ছিল, তাই তাড়াতাড়ি বিক্রি হয়ে গেছে। অনেকে পরে এসেও জানতে চেয়েছেন চিংড়ি আছে কিনা – বুঝতেই পারছেন চাহিদা কেমন ছিল!
৪. বোয়াল মাছ কম এনেছিলাম, তবে চাহিদা মোটামুটি ছিল।
৫. পাবদা মাছের চাহিদা আজ তুলনামূলক কম ছিল, কারণ সাইজ একটু ছোট ছিল। অনেকেই বলেছেন যেন পরের দিন একটু বড় সাইজের পাবদা আনি।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা
আমি আগরপাড়া, সোদপুর, বেলঘড়িয়া এইসব এরিয়ায় ঘুরে ঘুরে মাছ বিক্রি করি। তাই আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, দাম কিলো প্রতি ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত তফাৎ হতে পারে। কারণ সবাই একই পাইকারি বাজার থেকে মাছ আনে না।
এছাড়া মাছের দাম নির্ভর করে ওজন এবং কোয়ালিটির ওপর। আমি যেসব দাম বলেছি, সেগুলো টাটকা মাছের দাম। আপনার বাজারে দাম কিছুটা কম বা বেশি হতে পারে।
ডিসক্লেইমার
উপরের সব তথ্য আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করেছি, কারো কোনো অসম্মান করার উদ্দেশ্যে নয়। আমার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আপনাদের প্রতিদিনের মাছের দামের আপডেট দেওয়া, যাতে আপনারা বাজারে যাওয়ার আগে একটা ধারণা পেয়ে যান।
আপনারা যদি অন্য কোনো মাছের দাম জানতে চান, তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন — আমি চেষ্টা করবো প্রতিদিন সেই মাছের দাম জানাতে।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আবার আগামীকাল মাছের দামের আপডেট নিয়ে আসবো।
আপনার দিনটা শুভ হোক
0 Comments