Tata Altroz রিভিউ – 2025 সালে কেন এটা এখনো সেরা প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক?
Tata Altroz গাড়িটার কথা যখনই ওঠে, তখন প্রথমেই যেটা মাথায় আসে সেটা হলো এর প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক লুক আর 5-star সেফটি রেটিং। Tata Motors বরাবরই সেফটি নিয়ে খুব সিরিয়াস, আর Altroz হলো তার সেরা উদাহরণ। একদিকে এর ড্যাশিং ফ্রন্ট গ্রিল আর কাটিং-এজ হেডল্যাম্প ডিজাইন, অন্যদিকে শক্তিশালী বডি স্ট্রাকচার – সব মিলিয়ে Altroz নতুন জেনারেশনের ড্রাইভারদের কাছে একটা পারফেক্ট চয়েস হয়ে উঠেছে। যাঁরা শহরের ভিড়ে স্টাইল নিয়ে চলতে চান আবার লং ড্রাইভেও স্বস্তিতে চালাতে চান, তাদের জন্য Altroz একদম টপ-পিক।
ইঞ্জিন পারফরম্যান্স ও মাইলেজ – পেট্রোল, ডিজেল আর iTurbo সবই পাওয়া যায়
এই গাড়ির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর বিভিন্ন রকম ইঞ্জিনের ভেরিয়েন্ট রয়েছে। আপনি আপনার পছন্দমতো ভেরিয়েন্টটি বেছে নিতে পারবেন। এর যে ভেরিয়েন্টগুলি রয়েছে, সেগুলো হল পেট্রোল, ডিজেল আর আই-টার্বো – তিন ধরনের ইঞ্জিন ভেরিয়েন্ট। এবার আমি আপনাকে এই ভেরিয়েন্টগুলোর সুবিধা এক এক করে বলছি, ভালো করে মন দিয়ে দেখে নিন।
আপনি যদি দিনে দিনে শহরে ছোটাছুটি করেন তাহলে আপনার জন্য 1.2L পেট্রোল ইঞ্জিন যথেষ্ট ভালো হবে। এছাড়া আপনি যদি মনে করেন যে না, আমি একটু বেশি পাওয়ারের ইঞ্জিন চাই যেটা আমি হাইওয়েতে চালাবো, তাহলে আপনি iTurbo ভ্যারিয়েন্ট ট্রাই করে দেখতে পারেন।
আরো পড়ুন: https://babaiigl.blogspot.com/2025/07/hyundai-aura-full-details-bangla-2025.html
Altroz-এর পেট্রোল ভেরিয়েন্ট যেটা আছে আপনি যদি সেটি নেন, তাহলে ওটিতে আপনি ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটার মাইলেজ পাবেন ১ লিটার তেলে। আর আপনি যদি ডিজেলের যে ভেরিয়েন্ট আছে সেটি নেন, তাহলে আপনি মোটামুটি ২৩ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারবেন এক লিটার তেলে। এই যে মাইলেজগুলো আমি বললাম, এগুলো আপনি পাবেন ঠিকই, কিন্তু আপনার গাড়ি চালানোর উপরে ডিপেন্ড করে আপনি ঠিক কতটা মাইলেজ পাবেন। কেননা, আপনি যদি খারাপ রাস্তায় চালান, থেমে থেমে চালান, তাহলে মাইলেজ হয়তো একটু কম হতে পারে। আর আপনি যদি একদম সমান রাস্তায় একটানা চালান, তাহলে একটু মাইলেজ বেশি হতে পারে। যাই হোক না কেন, পেট্রোলের খরচের চিন্তা আপনাকে একটু কম করে দেয় এই গাড়িটি।
ইনটেরিয়র ও কমফোর্ট – আধুনিকতার ছোঁয়ায় ভরা ইন্টেরিয়র ডিজাইন
কোম্পানি গাড়িটিকে শুধু বাইরের দিক থেকেই সুন্দর করেনি, এর ভিতরটাও একদম কমফোর্টেবল করেছে যাতে যারা এই গাড়িটিতে বসবেন বা চালাবেন, সবাই যেন আরাম করে বুঝতে পারেন এই গাড়িটা কতটা স্বস্তিদায়ক। এর মানে হলো, কোম্পানি গাড়ির লুকের সঙ্গে সঙ্গে ভেতরের যে আরামদায়কতা – সেদিকেও কোনও কৃপণতা করেনি।
আপনি এই গাড়িটিতে ৭ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, অ্যান্ড্রয়েড অটো, অ্যাপল কারপ্লে, অটো ক্লাইমেট কন্ট্রোল, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট – এই সমস্ত ফিচার পাবেন। এমন অনেক প্রিমিয়াম ফিচার রয়েছে যা সাধারণত এই রেঞ্জের গাড়িতে দেখা যায় না।
আপনি যদি পিছনের সিটে বসেন, তাহলে বসে আপনাকে পা গুটিয়ে রাখতে হবে না – আপনি স্বাভাবিকভাবেই পা রাখতে পারবেন। সেই জন্য এই গাড়িটিতে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। এবং এই গাড়ির যে ছাদ রয়েছে সেটি উঁচু, এর ফলে আপনি বা যারা একটু লম্বা মানুষ – তাদেরও কোনও অসুবিধা হবে না, তারা আরামে ভেতরে বসতে পারবে। এর থেকে বোঝা যায় যে কোম্পানি কমফোর্টের দিক থেকে এই গাড়িটিকে একদম পারফেক্ট বানিয়েছে।
সেফটি – গ্লোবাল NCAP 5 Star রেটিং মানেই এক্সট্রা বিশ্বাস
Tata Altroz-এর সবচেয়ে বড় হাইলাইট হলো এর ৫-স্টার গ্লোবাল NCAP সেফটি রেটিং। এই দামের মধ্যে এমন সেফ গাড়ি পাওয়া সত্যিই কঠিন। দুটো এয়ারব্যাগ, ABS with EBD, ISOFIX চাইল্ড সিট মাউন্ট – সবটাই প্রি-ইনস্টলড আসে। পরিবার নিয়ে যারা রাস্তায় বের হন, তাদের জন্য Altroz একটা দারুণ ভরসার জায়গা।
দাম ও ভ্যারিয়েন্ট – প্রত্যেকের বাজেটের মধ্যে একেক রকম অপশন
এবার হয়তো আপনি ভাবছেন, এত আধুনিক ফিচারস আছে – তার জন্য এই গাড়িটির দাম হয়তো অনেক হবে। কিন্তু না, কোম্পানি এটি আপনার বাজেটের মধ্যেই রেখেছে।
আমি আপনাকে এখন এর ভেরিয়েন্ট এবং গাড়ির দাম বলছি – Tata Altroz-এর দাম শুরু হয় ₹6.65 লাখ (এক্স-শোরুম) থেকে, আর ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী তা ₹10.80 লাখ পর্যন্ত যায়। XE, XM, XT, XZ, আর XZ+ – এই পাঁচটি ভ্যারিয়েন্টে Altroz পাওয়া যায়, যার মধ্যে আবার কিছু স্পেশাল এডিশনও মাঝে মাঝে বাজারে আসে।
আর আপনার যদি বাজেট একটু বেশি হয় তাহলে আপনি XZ+ বা iTurbo নিতে পারেন, যেটা পারফরম্যান্স আর ফিচারের দিক থেকে সত্যিই অতুলনীয়।
আমি আপনাকে কেনার জন্য বাধ্য বা জোর করছি না – আমি শুধু আমার মতামতটাই আপনাকে জানালাম। কিনবেন, কি কিনবেন না, আর কোন ভেরিয়েন্টটা কিনবেন – সেটা একদম আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
ডিসক্লেইমার
এই কনটেন্টে উল্লিখিত সমস্ত তথ্য বিভিন্ন অনলাইন সোর্স এবং কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হয়েছে। দাম, ফিচারস ও মডেল সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে পারে। এই জন্য আপনি যদি গাড়িটি কেনার কথা ভাবেন, তাহলে অনুগ্রহ করে গাড়ি কেনার আগে কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং আপনার নিকটবর্তী যে শোরুমটি আছে সেখানে গিয়ে বর্তমান সমস্ত ফিচার, দাম, মডেল জেনে তারপরেই কিনবেন।
0 Comments