Header Ads Widget

Responsive Advertisement

MG Cyberster লঞ্চ ভারতে: এমজি-র প্রথম ইলেকট্রিক রোডস্টার, দাম, ডিজাইন আর ফিচারস জানুন একদম সহজ ভাষায়

ভারতে লঞ্চ হওয়া MG Cyberster ইলেকট্রিক রোডস্টার গাড়ির সাইড ভিউ, ওপেন রুফ ডিজাইন ও স্কিসর ডোর

MG Cyberster লঞ্চ ভারতে: এমজি-র প্রথম ইলেকট্রিক রোডস্টার, দাম, ডিজাইন আর ফিচারস জানুন একদম সহজ ভাষায়

ভারতে এবার পথচলা শুরু করল MG Motor-এর প্রথম ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার – MG Cyberster (এমজি সাইবারস্টার)। এটি একটি ওপেন রুফ (কনভার্টিবল) ইলেকট্রিক রোডস্টার, যার মানে আপনি চাইলে এর ছাদ খুলেও চালাতে পারবেন।

ভারতে দ্বিতীয় প্রিমিয়াম গাড়ি

এই গাড়িটি mg মোটর এর দ্বিতীয় প্রিমিয়াম মডেলের গাড়ি যেটি ভারতে বাজারে এমজি সিলেক্ট ডিলারশিপের মাধ্যমে বিক্রি হবে। এই গাড়িটিকে প্রথম দেখা গিয়েছিল 2025 সালের ইন্ডিয়ান মুভিলিটি গ্লোবাল এক্সপোতে প্রথম দেখাতেই এই গাড়িটি প্রচুর মানুষের নজর কেড়েছিল অর্থাৎ প্রচুর মানুষের পছন্দ হয়েছিল এই গাড়িটি।

ডিজাইন ও ব্রেকিং সিস্টেম সম্পর্কিত তথ্য

আপনাকে যদি আমি এই গাড়ি ডিজাইনের কথা বলি তো এই গাড়ির ডিজাইন অসাধারণ যে দেখবে তারই পছন্দ হবে। এই গাড়িটির লো-স্লাং কনভার্টিবল বডি, এয়ারোডাইনামিক শেপ আর স্পোর্টি রিয়ার লুক এই সমস্ত কিছু এই গাড়িকে রাস্তায় আলাদা করে চিনিয়ে দেয়। মানে আপনি যখন এই গাড়িটি নিয়ে রাস্তায় বেড়াবেন তখন এই গাড়িটিকে অন্য সব গাড়ি থেকে একদম আলাদাই লাগবে। এবং সবার নজর কাড়বে।এর হুইলবেস 2,690 মিমি, যা ভারসাম্যপূর্ণ গতি ও স্থিতিশীলতা দেয়।

আরো পড়ুন: https://babaiigl.blogspot.com/2025/07/renault-triber-facelift-launch-2025-features-price-safety.html

এই গাড়িটিতে ব্রেকিং সিস্টেমও একেবারে আধুনিক আর স্টাইলের মতোই শক্তিশালী। এই গাড়িটির চারটে চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে, মানে যখনই আপনি ব্রেক মারবেন গাড়িটা সাথে সাথে রেসপন্ড করবে আর ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শুধু তাই না, এতে ABS ব্রেকিং সিস্টেম আছে যার ফলে আপনি যখন ব্রেক মারবেন তখন চাকা লক হয়ে যাবে না, ফলে গাড়ি স্লিপ করবে না। আর একটা জিনিস হলো EBD, যেটা চারটা চাকায় ব্রেকের চাপ সমান করে দেয় যাতে গাড়িটা ব্যালান্সড থাকে। আর সবচেয়ে মজার জিনিস হলো এতে regenerative braking system আছে – মানে আপনি যখন ব্রেক করবেন তখন কিছু শক্তি আবার ব্যাটারিতে ফিরে যাবে, এতে একটু হলেও মাইলেজ বাড়ে। সব মিলিয়ে ব্রেকিং সিস্টেমের দিক থেকেও গাড়িটা একেবারে টপ ক্লাস। কারণ এর পুরো ব্রেকিং সিস্টেমটাকে ব্যালেন্স করে বানানো হয়েছে যাতে গাড়ি এবং গাড়ির যাত্রী সকলেই যেন সুরক্ষিত থাকে।

যে সমস্ত রঙে গাড়িটি পাওয়া যাবে

এই গাড়িটি আপনি ভারতে চারটে এক্সক্লুসিভ রঙে পাবেন সেগুলি হল

১. Cosmic Silver

২. Inca Yellow

৩. English White

৪. Dynamic Red

এই চারটি কালার এই গাড়িটিকে একদম অসাধারণ লাগে কোন কালারই কোন কালারের চাইতে কমতি নয় এক কথায় বললে এই কালার গুলি এই গাড়িটির জন্য একদম পারফেক্ট।

দরজার ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

এই গাড়িটির যেই অংশটি সবচাইতে বেশি আকর্ষণীয় সেটি হল এর 'Scissor-style' দরজা। অর্থাৎ এই গাড়ির যে দরজা গুলি রয়েছে সেগুলো অন্যসব গাড়ির মতো পাশাপাশি খুলেনা এগুলি উপর দকে খোলে একদম সেরকম যেরকম সুপার কারে হয়। ভারতে এরকম ফিউচার স্টিক ডিজাইনের ইলেকট্রিক গাড়ি এই প্রথম এসেছে।

গাড়িটির পারফরম্যান্স ও ব্যাটারির সমস্ত তথ্য

এই গাড়িটিতে আপনি 77 kWh এর একটি ব্যাটারি পাবেন। আর এই ব্যাটারিটি লাগানো থাকবে গাড়ির নিচের দিকে এর ফলে আপনার গাড়িটির ব্যালেন্স ভালো থাকবে যখন আপনি কোনো ডানদিকে বাঁদিকে ঘুরাবেন তখনও এই গাড়িটির ব্যালেন্স ভালো থাকবে।

এই গাড়িটিতে একটি সবচেয়ে ভালো জিনিস হলো এই গাড়ির ডুয়েল মোটরস সেটআপ মানে এই গাড়িটিতে দুটি মোটর দেয়া হয়েছে আর এই দুটি মোটর 510 bhp পাওয়ার আর 725 Nm টর্ক জেনারেট করে যার ফলে আপনার গাড়িটি খুব স্পিডে এবং স্মুথলি চলে। এই গাড়িটি মাত্র 3.2 সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০ কিমি/ঘন্টা স্পিড তুলতে পারে। আরেকটি কথা সেটি হল যে এই গাড়িটি এমজির সবচেয়ে শক্তিশালী প্রোডাকশন গাড়ি। কোম্পানির দাবি অনুযায়ী আপনি এই ব্যাটারিটিকে একবার ফুল চার্জ দেয়ার পর গাড়িটিকে 510 কিলোমিটার পর্যন্ত চালাতে পারবেন। একটা কথা কি বলুন তো? মাইলে জ কম বেশি হতে পারে কারণ মাইলে জ ডিপেন্ড করে আপনার গাড়ি চালানোর উপর আপনি যদি ট্রাফিক জ্যামে গাড়ি চালান বা গলিগালাতে চালান তখন আপনি মাইলেজ টি একটু কম পাবেন আবার আপনি যদি গাড়িটিকে কোন হাইওয়েতে একটানা একই স্পিডে চালান তাহলে মাইলেজ একটু বেশি পাবেন। আসলে আমি আপনাকে আমি আমার অভিজ্ঞতায় এটাই বলতে চাইছি যে গাড়ির মাইলেজ ডিপেন্ড করে আপনি কি রকম রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক সংস্করণ

বিশ্বের অন্যান্য বাজারে এই গাড়ির একটি ভিন্ন ভার্সনে আছে সেই ভেরিয়েন্টি হল Rear-wheel drive (RWD)। আর এই ভেরিয়েন্টিতে 64 kWh ব্যাটারি আছে, তার ফলে আপনি বুঝতেই পারছেন এই গাড়িটি একটু হালকা আর এই গাড়িটি ব্যাটারি পাওয়ার কম হওয়ার জন্য এই ব্যাটারিটি ২৯৫ বিএইচপি শক্তি দেয়। কোম্পানির দাবি অনুযায়ী এই গাড়িটি ফুল চার্জ দিলে ৫১৯ কিলোমিটার রাস্তা চালানো যায়।

এবার আপনি ভাবতে পারেন যে আমাদের ভারতে যে গাড়িটি লঞ্চ করেছে তাহলে তো তার মাইলেজ কম। কিন্তু আপনি একটি জিনিস ভালো করে দেখুন আমাদের ভারতে যে MG Cyberster গাড়িটি লঞ্চ করেছে সেটিতে দুটি মোটর আছে আর এই গাড়িটির স্পিড তাড়াতাড়ি ওঠে। কিন্তু Rear-wheel drive (RWD) এই মডেলটিতে সিঙ্গেল মটর আছে। আরেকটি কথা আপনি যদি ভাল করে দেখেন তো মাইলেজ এবং কিছু কম না মোটামুটি সব দিক দিয়ে দেখলে আমাদের ভারতে যেটি লঞ্চ করেছে সেটি মোটামুটি মাইলেজের দিক দিয়ে একটু কম হলেও কিন্তু পারফরম্যান্স দিক থেকে অন্য মডেলটির তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।

এই গাড়িটির দাম কত ভারতের বাজারে

সবকিছু জানার পর এবার আপনি ভাবছেন যে তাহলে তো গাড়িটির দাম মনে হয় অনেক বেশি হবে, হ্যাঁ এত আধুনিক ফিচারস আর এত সুন্দর পারফরমেন্স সেই অনুযায়ী গাড়িটির দাম মোটামুটি ঠিকই আছে। এখন আমি আপনাকে এই গাড়িটির দাম কত সেটাই বলবো।এই গাড়িটির এক্স-শোরুম প্রাইস শুরু হচ্ছে প্রায় ₹72.5 লাখ থেকে। তবে এই দাম শুধুমাত্র সেই ক্রেতাদের জন্য, যারা আগেই বুকিং করে রেখেছিলেন। যারা এখন গাড়িটি কিনবেন, তাদের জন্য এর দাম পড়বে প্রায় ₹75 লাখ (এক্স-শোরুম)।

শেষ কথা

MG Cyberster হল এমন একটি ইলেকট্রিক স্পোর্টস গাড়ি যা শুধুই পরিবেশবান্ধব নয়, একইসঙ্গে স্টাইল ও স্পিডের মেলবন্ধন ঘটায়। ভারতের ইভি বাজারে এমন ধরনের ডিজাইন ও ফিচার্স আগে দেখা যায়নি।

আপনি যদি কোনও আলাদা অভিজ্ঞতা খুঁজছেন, তাহলে MG Cyberster আপনার জন্য একদম পারফেক্ট।

ডিসক্লেইমার

এই পোস্টে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে তা অফিসিয়াল সোর্স এবং কোম্পানির তরফ থেকে প্রকাশিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে স্পেসিফিকেশন বা দাম কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। আপনি গাড়ি কেনার আগে সংশ্লিষ্ট ডিলারশিপ থেকে একবার যাচাই করে নেবেন।

Post a Comment

0 Comments